আকাশে মিটিমিটি চাঁদ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা হবে। আমি বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছি। চোখে ক্লান্তির তন্দ্রা অনুভব করছি ঠিক তখন মোবাইলে এসএমএস আসছে। লাভনী সম্ভবত এসএমএস করেছে। লাভনী প্রায়ই কারনে অকারনে এসএমএস করে। এসএমএস এর শব্দ শুনে সুকন্যা তড়িগড়ি করে এসে মোবাইল হাতে নিলো। আমি চোখ পুরোদমে বন্ধ করার চেষ্ঠা করছি তখন ধপ করে সুকন্যা মোবাইল আমার বুকের উপর ফেলে দিলো। অন্য মেয়ের সান্নিধ্য কোন স্ত্রীই সহ্য করতে পারেনা, সুকন্যার চেহারা এমনটা বলছে। ইদানিং সে আমার অফিস সম্পর্কে জানতে চায়। পাশের ডেস্কে কে বসে, পুরুষ না মহিলা? দেরি করে বাসা ফিরলে কৈফিয়ত চায়। আমি যদি সুকন্যাকে বলি লাভনী কোন মেয়ে নয়, একটি নামকরা মোবাইল অপারেটরের অফার পাঠানোর নম্বর। বিরক্ত হয় লাভনী (লাভ নাই) নামে সেভ করেছি। বিশ্বাস করবে? যদি বিশ্বাস করে তবে কি টেক কেয়ারের হার কমিয়ে দিবে? বাঙলী মেয়েরা যখন টের পায় স্বামী পর নারীতে আসক্ত, অবিশ্বাস্য টেক কেয়ার শুরু করে। সুকন্যাও তাই করছে....
.
২। ফেসবুকে আত্নহত্যার বিষয়টি নিয়ে সবাই খুব লেখালেখি শুরু করেছে। সুকন্যাকে নিয়েও শঙ্কায় আছি। তরুন এক লেখিকার আত্নহত্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নিউজফিড আত্নহত্যার পক্ষে-বিপক্ষে সবাই সরব। সবার মন খারাপ। কেউ মজার কিছু লিখছে না। আমাকে মজার কিছুু লেখা উচিত -
কোন এক রাজ্যের রাজা আর রানী রাতের বেলা গল্প করার সময় এক মুহুর্তে রানী বলে ফেললেন, 'সব স্বামীরাই বউয়ের কথা শোনে।' রাজা রানীর কথায় একমত হলেন না । তারা একে অপরের সাথে তর্ক শুরু করলেন। এক পর্যায় রাজা রানীকে বললেন- 'ঠিক আছে, কালই প্রমাণ হয়ে যাবে কে কার কথা শোনে।' পরের দিন রাজ্যে ঘোষণা করা হল “সব বিবাহিত প্রজাদের জন্য রাজা এক বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন”। তখন সব বিবাহিত প্রজার হুড়োহুড়ি দিয়ে রাজপ্রসাদের সামনে হাজির হলো । রাজ দরবারের সামনে দুইটা সাইনবোর্ড লাগানো হলো। প্রথম লাইনের সাইনবোর্ডে লেখা, যারা বউয়ের কথা শোনেন তারা এই লাইন দাড়ান। আরেকটা যারা বউয়ের কথা শোনেন না তারা ঐ লাইনে দাড়ান। রাজ্যের সব প্রজা ঠেলাঠেলি করে যারা বউয়ের কথা শোনে সেই লাইনে গিয়ে দাড়ালো । কিন্তু বল্টু বেচারা যারা বউয়ের কথা শোনেনা সেই লাইনে গিয়ে দাড়ালো। রাজা হেরে গিয়েও একদিক থেকে খুশি হলেন, যাক রাজ্যে এক বান্দা তো আছে যে বউয়ের কথা শোনে না। তখন রাজা কৌতুহলী হয়ে বল্টুকে জিজ্ঞেস করলেন- 'কি ব্যাপার, তুমি এই লাইনে এসে দাড়ালে কেনো ? তখন বল্টু বললো- “আমার বউ আমাকে বেশি তাড়াহুড়ার মধ্যে যেতে মানা করেছে”। পেছন থেকে সুকন্যার হিহি হাসির শব্দ কানে আসলো। গল্পটি লেখার সময় সুকন্যা উঁকি দিয়ে পড়েছে।
.
৩। বাহিরে বজ্রপাতের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঝড়ের রাতে হরর মুভি দেখার মজাই আলাদা। আমি কুন্ডলী পাঁকিয়ে বাম পার্শ্ব বিছানায় দিয়ে মুভি দেখছি। সুকন্যা আমার ডান কান আর মাথার উপর তার মাথা রেখে সেও মুভি দেখছে। হটাৎ সুকন্যা বললো- সেদিন তোমাদের বড় বস তোমাকে আর তোমার শাখার বসকে উনার চেম্বারে তলব করলেন। তুমি যাওয়ার পর তোমার বস তোমাকে বললেন, নাবিল সাহেব, আপনি ফাইলটি আমার কাছে দেন। ঐ সময় তোমার বসকে বড় বস বললেন, হাবিব, চেয়ারে বসো। জরুরী কাজ করতে হবে। নাবিল তোমাকে চেয়ারে বসার কথা বললেন না কেন? অথচ তোমাকে তো আপনি করে সম্বোধন করা হয়েছে। আমি বললাম, এটা আমাদের অফিসের সিস্টেম। সুকন্যা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো, তোমার বসের ক্ষেত্রে এটা সিস্টেম কিন্তু তোমার জন্য করুণা। আমি অবাক হয়ে বললাম- তুমি আমার অফিস সম্পর্কে জানো কিভাবে? সুকন্যা ভেংচি মেরে বললো, আমি তোমার মোবাইলে হিডেন রেকোর্ডার চালু করেছিলাম। আচ্ছা নাবিল, লাভনী মেয়েটা কে? আমি বললাম, থাক, অন্যদিন বলি। সে আনমনে মুভি দেখছে। ঘড়িতে হটাৎ ঢং ঢং শব্দ করে বারটা বাজলো। আমি কানে ফিসফিস করে বললাম- শুভ জন্মদিন সুকন্যা।
.
মিজানুর রহমান
১৭.০৩.২০১৭
.
২। ফেসবুকে আত্নহত্যার বিষয়টি নিয়ে সবাই খুব লেখালেখি শুরু করেছে। সুকন্যাকে নিয়েও শঙ্কায় আছি। তরুন এক লেখিকার আত্নহত্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নিউজফিড আত্নহত্যার পক্ষে-বিপক্ষে সবাই সরব। সবার মন খারাপ। কেউ মজার কিছু লিখছে না। আমাকে মজার কিছুু লেখা উচিত -
কোন এক রাজ্যের রাজা আর রানী রাতের বেলা গল্প করার সময় এক মুহুর্তে রানী বলে ফেললেন, 'সব স্বামীরাই বউয়ের কথা শোনে।' রাজা রানীর কথায় একমত হলেন না । তারা একে অপরের সাথে তর্ক শুরু করলেন। এক পর্যায় রাজা রানীকে বললেন- 'ঠিক আছে, কালই প্রমাণ হয়ে যাবে কে কার কথা শোনে।' পরের দিন রাজ্যে ঘোষণা করা হল “সব বিবাহিত প্রজাদের জন্য রাজা এক বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন”। তখন সব বিবাহিত প্রজার হুড়োহুড়ি দিয়ে রাজপ্রসাদের সামনে হাজির হলো । রাজ দরবারের সামনে দুইটা সাইনবোর্ড লাগানো হলো। প্রথম লাইনের সাইনবোর্ডে লেখা, যারা বউয়ের কথা শোনেন তারা এই লাইন দাড়ান। আরেকটা যারা বউয়ের কথা শোনেন না তারা ঐ লাইনে দাড়ান। রাজ্যের সব প্রজা ঠেলাঠেলি করে যারা বউয়ের কথা শোনে সেই লাইনে গিয়ে দাড়ালো । কিন্তু বল্টু বেচারা যারা বউয়ের কথা শোনেনা সেই লাইনে গিয়ে দাড়ালো। রাজা হেরে গিয়েও একদিক থেকে খুশি হলেন, যাক রাজ্যে এক বান্দা তো আছে যে বউয়ের কথা শোনে না। তখন রাজা কৌতুহলী হয়ে বল্টুকে জিজ্ঞেস করলেন- 'কি ব্যাপার, তুমি এই লাইনে এসে দাড়ালে কেনো ? তখন বল্টু বললো- “আমার বউ আমাকে বেশি তাড়াহুড়ার মধ্যে যেতে মানা করেছে”। পেছন থেকে সুকন্যার হিহি হাসির শব্দ কানে আসলো। গল্পটি লেখার সময় সুকন্যা উঁকি দিয়ে পড়েছে।
.
৩। বাহিরে বজ্রপাতের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঝড়ের রাতে হরর মুভি দেখার মজাই আলাদা। আমি কুন্ডলী পাঁকিয়ে বাম পার্শ্ব বিছানায় দিয়ে মুভি দেখছি। সুকন্যা আমার ডান কান আর মাথার উপর তার মাথা রেখে সেও মুভি দেখছে। হটাৎ সুকন্যা বললো- সেদিন তোমাদের বড় বস তোমাকে আর তোমার শাখার বসকে উনার চেম্বারে তলব করলেন। তুমি যাওয়ার পর তোমার বস তোমাকে বললেন, নাবিল সাহেব, আপনি ফাইলটি আমার কাছে দেন। ঐ সময় তোমার বসকে বড় বস বললেন, হাবিব, চেয়ারে বসো। জরুরী কাজ করতে হবে। নাবিল তোমাকে চেয়ারে বসার কথা বললেন না কেন? অথচ তোমাকে তো আপনি করে সম্বোধন করা হয়েছে। আমি বললাম, এটা আমাদের অফিসের সিস্টেম। সুকন্যা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো, তোমার বসের ক্ষেত্রে এটা সিস্টেম কিন্তু তোমার জন্য করুণা। আমি অবাক হয়ে বললাম- তুমি আমার অফিস সম্পর্কে জানো কিভাবে? সুকন্যা ভেংচি মেরে বললো, আমি তোমার মোবাইলে হিডেন রেকোর্ডার চালু করেছিলাম। আচ্ছা নাবিল, লাভনী মেয়েটা কে? আমি বললাম, থাক, অন্যদিন বলি। সে আনমনে মুভি দেখছে। ঘড়িতে হটাৎ ঢং ঢং শব্দ করে বারটা বাজলো। আমি কানে ফিসফিস করে বললাম- শুভ জন্মদিন সুকন্যা।
.
মিজানুর রহমান
১৭.০৩.২০১৭
No comments:
Post a Comment